Posts

ভূমিকম্প

Image
ভূমিকঃ~ ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূ-ত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এই রূপ আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে   ভূমিকম্প   বলে।   কম্পন-তরঙ্গ থেকে যে শক্তির সৃষ্টি হয়, তা ভূমিকম্পের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই তরঙ্গ ভূ-গর্ভের কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে উৎপন্ন হয় এবং উৎসস্থল থেকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভূমিকম্প সাধারণত কয়েক সেকেণ্ড থেকে এক/দু-মিনিট স্থায়ী হয়। মাঝে মাঝে কম্পন এত দুর্বল হয় যে, তা অনুভব করা যায় না। কিন্তু শক্তিশালী ও বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ঘর-বাড়ি ও ধন-সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে। সাধারণ জ্ঞানে ভূমিকম্প শব্দটি দ্বারা যে কোন প্রকার ভূকম্পন জনিত ঘটনাকে বোঝায় - সেটা প্রাকৃতিক অথবা মনুষ্য সৃষ্ট যাই হোক না কেন। বেশিরভাগ ভূমিকম্পের কারণ হল ভূগর্ভে ফাটল ও স্তরচ্যুতি হওয়া কিন্তু সেটা অন্যান্য কারণ যেমন অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস, খনিতে বিষ্ফোরণ বা ভূগর্ভস্থ নিউক্লিয়ার গবেষণায় ঘটানো আণবিক পরীক্ষা থেকেও হতে পারে। ভূমিকম্পের প্রাথমিক ফাটলকে বলে  ফোকাস ...

⛰️ কার্ষ্ট ভূমিরূপ গঠন পক্রিয়া ও দ্রবণ কার্য 🌍

Image
⛰️ কার্ষ্ট ভূমিরূপ গঠন পক্রিয়া ও দ্রবণ কার্য 🌍 ( ⭐ চার্ট ও পর্যালোচনা  : অর্ঘ্য বটব্যাল । ) ----------------------------------------------------------------- 🌍 নদী , বায়ু ও হিমবাহের পাশাপাশি চুনাপাথর যুক্ত অঞ্চলে জলের সাথে দ্রবণের ফলে এক বিশেষ ধরনের ভূমিরূপ গড়ে ওঠে যাকে কার্স্ট ভূমিরূপ বলা হয়। যুগোশ্লোভাকিয়ার কার্স্ট অঞ্চলের নাম থেকে পৃথিবীর যে সমস্ত অঞ্চলে এই প্রক্রিয়ায় নানা ভূমিরূপ গড়ে ওঠে তাকে কার্স্ট ভূমিরূপ বলা হয়।  ⭐ সাধারণত চুনাপাথরের দ্রবণক্রিয়ায় গড়ে ওঠা এই ভূমিরূপে ক্ষয় ও সঞ্চয় লক্ষ করা যায়। এছাড়া ভৌম জলস্তরের দ্বারাও চুনাপাথর দ্রবীভূত হয়।  ⭐ রাসায়নিক সমীকরণ :  Caco3+H20 = Ca(HCo3)2 . সাধারণত ক্যালসিয়াম কার্বনেট যুক্ত শিলাস্তরে জলের বিক্রিয়ার দ্বারা ক্যালসিয়াম বাই কার্বনেট গঠিত হয়। ফল স্বরূপ শিলাস্তরে রসায়নিক আবহবিকার হতে থাকে ও ক্ষয় হয়। এই প্রক্রিয়াকে কার্বোনেশন বলা হয়। অন্যদিকে ক্যালসিয়াম বাই কার্বনেট থেকে জল মুক্ত হলে ডিকার্বোনেশন বলে। এছাড়াও কার্স্ট অঞ্চলে  নদীর দ্বারাও ক্ষয় হয়ে থাকে। কোনো কোনো স্থানে গুহার ছাদ ধ্বসে...

🛑 ভাঁজ ও ভাঁজ সৃষ্টির পক্রিয়া 🛑

Image
🛑 ভাঁজ ও ভাঁজ সৃষ্টির পক্রিয়া 🛑 ------------------------------------------------ 🏔️ সাধারণত চাপের ফলে পাললিক শিলাস্তরে যে একাধিক তরঙ্গের মতো বাঁকের সৃষ্টি হয় তাকেই ভাজ বলা হয়ে থাকে। ভাঁজ সৃষ্টিতে মূলত গিরিজনি আলোড়ন ক্রিয়াশীল হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই শক্তি পৃথিবী পৃষ্ঠের সঙ্গে আড়াআড়ি কাজ করে থাকে। এই আলোড়নের মধ্যে অন্যতম হলো পার্শ্বচাপ বা সংনমন।  🏔️ ভাঁজের খুঁটিনাটি :  ⭐ বাহু : ভাঁজের শীর্ষ বা মাথা থেকে যে দুটি রেখা দুদিকে নেমে গেছে তাকেই বলা হয় বাহু।  ⭐ অক্ষ : একটা ভাজের শীর্ষ  থেকে সমান্তরালে মাটিতে স্পর্শ করে যে রেখা তাকেই অক্ষরেখা বলে। এটি একটি কাল্পনিক রেখা। এই রেখা সোজা বা হেলানো হতে পারে।  ⭐ অক্ষতল : অক্ষ বরাবর ভাজকে ভাগ করলে যে কাল্পনিক তল পাওয়া যায় তাকেই অক্ষতল বলে।  ⭐ শীর্ষ : একটি ভাঁজের সর্বোচ্চ উচ্চতায় যে কাল্পনিক বিন্দু পাওয়া যায় তাকেই শীর্ষ বলে।  ⭐ মধ্যবাহু : দুটি ভাজের মাঝের বাহুকে মধ্যবাহু বলা হয় ।  ⭐ উর্দ্ধভঙ্গ : উত্তল প্রকৃতির ভাজকে উর্দ্ধভঙ্গ বলে। আর অবতল প্রকৃতির ভাঁজকে অধভঙ্গ বলা হয়।  ভাঁজের শ্রেণীবিভাগ :...

🛑 সমুদ্র তলদেশ বিস্তার তত্ব ( হ্যারি হেস ) 🛑

Image
🛑 সমুদ্র তলদেশ বিস্তার তত্ব ( হ্যারি হেস ) 🛑 ------------------------------------------------------------------         সমুদ্র তলদেশ বিস্তার তত্ব ( হ্যারি হেস )  🌍সমুদ্র তলদেশের বিস্তার : সাধারণত এই পাতসীমান্ত বরাবর দুটি পাত পরস্পরের বিপরীত দিকে সরতে থাকে। সমুদ্র তলদেশে নতুন সমুদ্রপৃষ্ঠ তৈরি হয় প্রতিসারী পাতসীমান্তের উভয় দিকে। এবং পুরাতন সমুদ্র তলদেশীয় পাত মহাদেশের দিকে সরে এসে মহাদেশীয় পাতের তলায় প্রবেশ করে থাকে।  ⭐ প্রতিসারী পাতসীমান্ত ও পরিচলন স্রোত :  সাধারণত গুরুমন্ডলের অ্যাসথেনোস্ফিয়ারে উষ্ণতার ও ঘনত্বের তারতম্যের জন্য চাপের পার্থক্য হয় ফলে একধরণের আগ্নেয় স্রোত নীচে থেকে উপরে উঠে এসে উপরের স্তরে পাতের নীচে দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং এই স্রোত অনুসরণ করেই পাতসীমান্ত বরাবর পাতের সরণ লক্ষ্য করা যায় বিপরীত দিকে।  ⭐ সমুদ্র তলদেশের বিস্তার : সমুদ্র তলদেশের বিস্তার সম্বন্ধীয় তত্ব প্রথম দেন বিজ্ঞানী হ্যারি হেস। সাধারণত গভীর সমুদ্রের তলদেশে লম্বালম্বি ভাবে আগ্নেয় শৈলশিরা লক্ষকরা যায়। এই শৈলশিরার মধ্যভাগে লম্বালম্বিভাবে প্রতিসারী...

🛑 বিভিন্ন পাতসীমান্ত - সমুদ্র তলদেশ বিস্তার 🛑

Image
🛑 বিভিন্ন পাতসীমান্ত - সমুদ্র তলদেশ বিস্তার 🛑 -------------------------------------------------------------------        বিভিন্ন পাতসীমান্ত - সমুদ্র তলদেশ বিস্তার  🌍 পাত সীমান্ত : সাধারণত দুটি পাতের মধ্যবর্তী যে অঞ্চল বরাবর দুটি পাত পরস্পরের দিকে এগিয়ে আসে বা বিপরীত দিকে সরে যায় তাকেই বলা হয় পাতসীমান্ত বা প্লেট বাউন্ডারি। অন্যদিকে একটি পাতের প্রান্তভাগ কে বলা হয়ে থাকে পাতপ্রান্ত। পাতসীমান্তগুলি হল ভূপৃষ্ঠের অন্যতম দুর্বল অংশ , ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা ও আগ্নেয় হটস্পট।  🌍 প্রতিসারী পাতসীমান্ত ও সমুদ্র তলদেশের বিস্তার : সাধারণত এই পাতসীমান্ত বরাবর দুটি পাত পরস্পরের বিপরীত দিকে সরতে থাকে। সমুদ্র তলদেশে নতুন সমুদ্রপৃষ্ঠ তৈরি হয় প্রতিসারী পাতসীমান্তের উভয় দিকে। এবং পুরাতন সমুদ্র তলদেশীয় পাত মহাদেশের দিকে সরে এসে মহাদেশীয় পাতের তলায় প্রবেশ করে থাকে।  ⭐ প্রতিসারী পাতসীমান্ত ও পরিচলন স্রোত :  সাধারণত গুরুমন্ডলের অ্যাসথেনোস্ফিয়ারে উষ্ণতার ও ঘনত্বের তারতম্যের জন্য চাপের পার্থক্য হয় ফলে একধরণের আগ্নেয় স্রোত নীচে থেকে উপরে উঠে এসে উপর...

🌍 সমস্থিতি মতবাদের পরীক্ষা ও আলোচনা 🌍

Image
🌍 সমস্থিতি মতবাদের পরীক্ষা ও আলোচনা 🌍 ------------------------------------------------------------------        সমস্থিতি মতবাদের পরীক্ষা ও আলোচনা  🛑 সমস্থিতির ধারণা : সাধারণত বিশ্বব্যাপী ভারসাম্য রক্ষার অপর নাম হল সমস্থিতি। পৃথিবীর প্রতিটি বস্তুকে মহাকর্ষ বলের মাধ্যমে নিজের কেন্দ্রের দিকে টানে। অন্যদিকে পাত সংস্থান তত্বের মাধ্যমে নতুন নতুন পাত ও পর্বতের সৃষ্টি হয়। কোথাও গলন , কোথাও গঠন এই ধারাবাহিক পদ্ধতি সামান্য বিচ্যুত হলেই ভারসাম্যের অভাব দেখা যায়। এই ধারাবাহিক ভারসাম্য রক্ষার পদ্ধতি হল সমস্থিতি। এপ্রসঙ্গে বিজ্ঞানী এয়ারির ( ১৮৫৫) ও বিজ্ঞানী প্রাটের (১৮৬৮ ) সমস্থিতি মতবাদের তত্বদুটি পরীক্ষার মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হল । ⭐এয়ারির সমস্থিতি মতবাদের পরীক্ষার উপকরণ : একটি সাধারণ বাটি , সম আরতন ও ঘনত্বের দুটি বা তার অধিক পাত্র , জল।   ⭐ পদ্ধতি: সাধারণত একটি বাটিতে ( অর্ধেক বা তার বেশি জল , অন্যকোনো ঘন তরল পদার্থ নেওয়া হল। এরপর দুটি ছিপির একটিকে খালি রাখা হল অন্যটিতে সম্পূর্ণ জল ভর্তি করে বাটির জলের উপর রাখা হল। ( যদি বড়ো পাত্র হয় সেক্ষে...

🌍 ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি তত্ব ও পাতসংস্থান 🌍

Image
🌍 ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি তত্ব ও পাতসংস্থান 🌍 --------------------------------------------------------------------       ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি তত্ব ও পাতসংস্থান 🏔️ ভঙ্গিল পর্বত : সাধারণত সংনমন শক্তির প্রভাবে পাললিক শিলাস্তরে প্রচুর চাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই চাপের ফলে তরঙ্গের ন্যায় ভাঁজের সৃষ্টি হয়। একটি সুগভীর একাধিক পাললিক শিলার স্তরে এমন ভাঁজের সৃষ্টি হয়ে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হয়ে থাকে।  🏔️ সংনমন ও সম্প্রসারণ : অভিসারী পাতসীমান্ত বরাবর একরকম পার্শ্বচাপ হল সংনমন। ধরা যাক একটা চাদরে দুদিক থেকে হাতের গতিকে পরস্পরের দিকে নিয়ে এলে ( ➡️⬅️) একধরনের চাপ পড়ে এই শক্তিকেই বলা হয় সংনমন। দুদিকে সমান চাপ হলে একটা বা একাধিক প্রতিসম ভাজ তৈরি হয়। অন্যদিকে যেকোনো একদিকে চাপ বেশি হলে অপ্রতিসম ভাজ তৈরি হয়। যেমন : আবৃত্ত ভাজ , সমপ্রবন ভাজ , রিকাবমেন্ট ভাজ , থ্রাস্ট ও ন্যাপ । অন্যদিকে শিলাস্তরে চাপ বিপরীত দিকে হলে টান সৃষ্টি হয় এরফলে ফাটল বা চ্যুতি দেখা যায় একে সম্প্রসারণ বল বলে (⬅️➡️)।  🏔️ হিমালয় পর্বতমালা সৃষ্টি তত্ব :  ⭐ মহীখাত তত্ব ( Geosyncline t...