Posts

Showing posts from 2020

⛰️ কার্ষ্ট ভূমিরূপ গঠন পক্রিয়া ও দ্রবণ কার্য 🌍

Image
⛰️ কার্ষ্ট ভূমিরূপ গঠন পক্রিয়া ও দ্রবণ কার্য 🌍 ( ⭐ চার্ট ও পর্যালোচনা  : অর্ঘ্য বটব্যাল । ) ----------------------------------------------------------------- 🌍 নদী , বায়ু ও হিমবাহের পাশাপাশি চুনাপাথর যুক্ত অঞ্চলে জলের সাথে দ্রবণের ফলে এক বিশেষ ধরনের ভূমিরূপ গড়ে ওঠে যাকে কার্স্ট ভূমিরূপ বলা হয়। যুগোশ্লোভাকিয়ার কার্স্ট অঞ্চলের নাম থেকে পৃথিবীর যে সমস্ত অঞ্চলে এই প্রক্রিয়ায় নানা ভূমিরূপ গড়ে ওঠে তাকে কার্স্ট ভূমিরূপ বলা হয়।  ⭐ সাধারণত চুনাপাথরের দ্রবণক্রিয়ায় গড়ে ওঠা এই ভূমিরূপে ক্ষয় ও সঞ্চয় লক্ষ করা যায়। এছাড়া ভৌম জলস্তরের দ্বারাও চুনাপাথর দ্রবীভূত হয়।  ⭐ রাসায়নিক সমীকরণ :  Caco3+H20 = Ca(HCo3)2 . সাধারণত ক্যালসিয়াম কার্বনেট যুক্ত শিলাস্তরে জলের বিক্রিয়ার দ্বারা ক্যালসিয়াম বাই কার্বনেট গঠিত হয়। ফল স্বরূপ শিলাস্তরে রসায়নিক আবহবিকার হতে থাকে ও ক্ষয় হয়। এই প্রক্রিয়াকে কার্বোনেশন বলা হয়। অন্যদিকে ক্যালসিয়াম বাই কার্বনেট থেকে জল মুক্ত হলে ডিকার্বোনেশন বলে। এছাড়াও কার্স্ট অঞ্চলে  নদীর দ্বারাও ক্ষয় হয়ে থাকে। কোনো কোনো স্থানে গুহার ছাদ ধ্বসে...

🛑 ভাঁজ ও ভাঁজ সৃষ্টির পক্রিয়া 🛑

Image
🛑 ভাঁজ ও ভাঁজ সৃষ্টির পক্রিয়া 🛑 ------------------------------------------------ 🏔️ সাধারণত চাপের ফলে পাললিক শিলাস্তরে যে একাধিক তরঙ্গের মতো বাঁকের সৃষ্টি হয় তাকেই ভাজ বলা হয়ে থাকে। ভাঁজ সৃষ্টিতে মূলত গিরিজনি আলোড়ন ক্রিয়াশীল হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই শক্তি পৃথিবী পৃষ্ঠের সঙ্গে আড়াআড়ি কাজ করে থাকে। এই আলোড়নের মধ্যে অন্যতম হলো পার্শ্বচাপ বা সংনমন।  🏔️ ভাঁজের খুঁটিনাটি :  ⭐ বাহু : ভাঁজের শীর্ষ বা মাথা থেকে যে দুটি রেখা দুদিকে নেমে গেছে তাকেই বলা হয় বাহু।  ⭐ অক্ষ : একটা ভাজের শীর্ষ  থেকে সমান্তরালে মাটিতে স্পর্শ করে যে রেখা তাকেই অক্ষরেখা বলে। এটি একটি কাল্পনিক রেখা। এই রেখা সোজা বা হেলানো হতে পারে।  ⭐ অক্ষতল : অক্ষ বরাবর ভাজকে ভাগ করলে যে কাল্পনিক তল পাওয়া যায় তাকেই অক্ষতল বলে।  ⭐ শীর্ষ : একটি ভাঁজের সর্বোচ্চ উচ্চতায় যে কাল্পনিক বিন্দু পাওয়া যায় তাকেই শীর্ষ বলে।  ⭐ মধ্যবাহু : দুটি ভাজের মাঝের বাহুকে মধ্যবাহু বলা হয় ।  ⭐ উর্দ্ধভঙ্গ : উত্তল প্রকৃতির ভাজকে উর্দ্ধভঙ্গ বলে। আর অবতল প্রকৃতির ভাঁজকে অধভঙ্গ বলা হয়।  ভাঁজের শ্রেণীবিভাগ :...

🛑 সমুদ্র তলদেশ বিস্তার তত্ব ( হ্যারি হেস ) 🛑

Image
🛑 সমুদ্র তলদেশ বিস্তার তত্ব ( হ্যারি হেস ) 🛑 ------------------------------------------------------------------         সমুদ্র তলদেশ বিস্তার তত্ব ( হ্যারি হেস )  🌍সমুদ্র তলদেশের বিস্তার : সাধারণত এই পাতসীমান্ত বরাবর দুটি পাত পরস্পরের বিপরীত দিকে সরতে থাকে। সমুদ্র তলদেশে নতুন সমুদ্রপৃষ্ঠ তৈরি হয় প্রতিসারী পাতসীমান্তের উভয় দিকে। এবং পুরাতন সমুদ্র তলদেশীয় পাত মহাদেশের দিকে সরে এসে মহাদেশীয় পাতের তলায় প্রবেশ করে থাকে।  ⭐ প্রতিসারী পাতসীমান্ত ও পরিচলন স্রোত :  সাধারণত গুরুমন্ডলের অ্যাসথেনোস্ফিয়ারে উষ্ণতার ও ঘনত্বের তারতম্যের জন্য চাপের পার্থক্য হয় ফলে একধরণের আগ্নেয় স্রোত নীচে থেকে উপরে উঠে এসে উপরের স্তরে পাতের নীচে দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং এই স্রোত অনুসরণ করেই পাতসীমান্ত বরাবর পাতের সরণ লক্ষ্য করা যায় বিপরীত দিকে।  ⭐ সমুদ্র তলদেশের বিস্তার : সমুদ্র তলদেশের বিস্তার সম্বন্ধীয় তত্ব প্রথম দেন বিজ্ঞানী হ্যারি হেস। সাধারণত গভীর সমুদ্রের তলদেশে লম্বালম্বি ভাবে আগ্নেয় শৈলশিরা লক্ষকরা যায়। এই শৈলশিরার মধ্যভাগে লম্বালম্বিভাবে প্রতিসারী...

🛑 বিভিন্ন পাতসীমান্ত - সমুদ্র তলদেশ বিস্তার 🛑

Image
🛑 বিভিন্ন পাতসীমান্ত - সমুদ্র তলদেশ বিস্তার 🛑 -------------------------------------------------------------------        বিভিন্ন পাতসীমান্ত - সমুদ্র তলদেশ বিস্তার  🌍 পাত সীমান্ত : সাধারণত দুটি পাতের মধ্যবর্তী যে অঞ্চল বরাবর দুটি পাত পরস্পরের দিকে এগিয়ে আসে বা বিপরীত দিকে সরে যায় তাকেই বলা হয় পাতসীমান্ত বা প্লেট বাউন্ডারি। অন্যদিকে একটি পাতের প্রান্তভাগ কে বলা হয়ে থাকে পাতপ্রান্ত। পাতসীমান্তগুলি হল ভূপৃষ্ঠের অন্যতম দুর্বল অংশ , ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা ও আগ্নেয় হটস্পট।  🌍 প্রতিসারী পাতসীমান্ত ও সমুদ্র তলদেশের বিস্তার : সাধারণত এই পাতসীমান্ত বরাবর দুটি পাত পরস্পরের বিপরীত দিকে সরতে থাকে। সমুদ্র তলদেশে নতুন সমুদ্রপৃষ্ঠ তৈরি হয় প্রতিসারী পাতসীমান্তের উভয় দিকে। এবং পুরাতন সমুদ্র তলদেশীয় পাত মহাদেশের দিকে সরে এসে মহাদেশীয় পাতের তলায় প্রবেশ করে থাকে।  ⭐ প্রতিসারী পাতসীমান্ত ও পরিচলন স্রোত :  সাধারণত গুরুমন্ডলের অ্যাসথেনোস্ফিয়ারে উষ্ণতার ও ঘনত্বের তারতম্যের জন্য চাপের পার্থক্য হয় ফলে একধরণের আগ্নেয় স্রোত নীচে থেকে উপরে উঠে এসে উপর...

🌍 সমস্থিতি মতবাদের পরীক্ষা ও আলোচনা 🌍

Image
🌍 সমস্থিতি মতবাদের পরীক্ষা ও আলোচনা 🌍 ------------------------------------------------------------------        সমস্থিতি মতবাদের পরীক্ষা ও আলোচনা  🛑 সমস্থিতির ধারণা : সাধারণত বিশ্বব্যাপী ভারসাম্য রক্ষার অপর নাম হল সমস্থিতি। পৃথিবীর প্রতিটি বস্তুকে মহাকর্ষ বলের মাধ্যমে নিজের কেন্দ্রের দিকে টানে। অন্যদিকে পাত সংস্থান তত্বের মাধ্যমে নতুন নতুন পাত ও পর্বতের সৃষ্টি হয়। কোথাও গলন , কোথাও গঠন এই ধারাবাহিক পদ্ধতি সামান্য বিচ্যুত হলেই ভারসাম্যের অভাব দেখা যায়। এই ধারাবাহিক ভারসাম্য রক্ষার পদ্ধতি হল সমস্থিতি। এপ্রসঙ্গে বিজ্ঞানী এয়ারির ( ১৮৫৫) ও বিজ্ঞানী প্রাটের (১৮৬৮ ) সমস্থিতি মতবাদের তত্বদুটি পরীক্ষার মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হল । ⭐এয়ারির সমস্থিতি মতবাদের পরীক্ষার উপকরণ : একটি সাধারণ বাটি , সম আরতন ও ঘনত্বের দুটি বা তার অধিক পাত্র , জল।   ⭐ পদ্ধতি: সাধারণত একটি বাটিতে ( অর্ধেক বা তার বেশি জল , অন্যকোনো ঘন তরল পদার্থ নেওয়া হল। এরপর দুটি ছিপির একটিকে খালি রাখা হল অন্যটিতে সম্পূর্ণ জল ভর্তি করে বাটির জলের উপর রাখা হল। ( যদি বড়ো পাত্র হয় সেক্ষে...

🌍 ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি তত্ব ও পাতসংস্থান 🌍

Image
🌍 ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি তত্ব ও পাতসংস্থান 🌍 --------------------------------------------------------------------       ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি তত্ব ও পাতসংস্থান 🏔️ ভঙ্গিল পর্বত : সাধারণত সংনমন শক্তির প্রভাবে পাললিক শিলাস্তরে প্রচুর চাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই চাপের ফলে তরঙ্গের ন্যায় ভাঁজের সৃষ্টি হয়। একটি সুগভীর একাধিক পাললিক শিলার স্তরে এমন ভাঁজের সৃষ্টি হয়ে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হয়ে থাকে।  🏔️ সংনমন ও সম্প্রসারণ : অভিসারী পাতসীমান্ত বরাবর একরকম পার্শ্বচাপ হল সংনমন। ধরা যাক একটা চাদরে দুদিক থেকে হাতের গতিকে পরস্পরের দিকে নিয়ে এলে ( ➡️⬅️) একধরনের চাপ পড়ে এই শক্তিকেই বলা হয় সংনমন। দুদিকে সমান চাপ হলে একটা বা একাধিক প্রতিসম ভাজ তৈরি হয়। অন্যদিকে যেকোনো একদিকে চাপ বেশি হলে অপ্রতিসম ভাজ তৈরি হয়। যেমন : আবৃত্ত ভাজ , সমপ্রবন ভাজ , রিকাবমেন্ট ভাজ , থ্রাস্ট ও ন্যাপ । অন্যদিকে শিলাস্তরে চাপ বিপরীত দিকে হলে টান সৃষ্টি হয় এরফলে ফাটল বা চ্যুতি দেখা যায় একে সম্প্রসারণ বল বলে (⬅️➡️)।  🏔️ হিমালয় পর্বতমালা সৃষ্টি তত্ব :  ⭐ মহীখাত তত্ব ( Geosyncline t...

🌏 মহীসঞ্চারণ তত্ব ( Alfred Wegner -1912)🌍

Image
🌏 মহীসঞ্চারণ তত্ব ( Alfred Wegner -1912)🌍 -------------------------------------------------------------------                        মহীসঞ্চারণ তত্ব  ⭐ ১৯১২ সালে বিজ্ঞানী আলফ্রেড ওয়েগনার প্রথমবার মহীসঞ্চারণ তত্ব উপস্থাপন করেন। এই তত্বটি মহাদেশ সৃষ্টি , চলন ও মহাদেশগুলির মূল একক বৃহত্তম মহাদেশ একক ( Pangea ) থেকে সৃষ্টি তার সপক্ষকে তুলে ধরে। এছাড়াও একধিক মহাদেশে সমপ্রকৃতির জীব , শিলা , জীবাশ্ম অঞ্চল ও প্রান্তদেশের যে মিল পাওয়া যায় তার কারণ পর্যালোচনা করে থাকে। এই তত্বটি খুবই সহজ এবং সহজভাবে উপস্থাপন করা যায়।  ⭐ প্যাঞ্জিয়া : সাধারণত পৃথিবীতে বর্তমান যে সমস্ত মহাদেশ সৃষ্টি হয়েছে তারা প্রাচীন কালে একটি একক ছিল ( সব মহাদেশ গুলি একসঙ্গে একটি বড়ো একক অতিমহাদেশীয় একক হিসাবে অবস্থান করত ) এই একক বড়ো স্থলভাগ বা অঞ্চলটিকেই বলা হয় প্যাঞ্জিয়া ।  ⭐ প্যানথালসা : প্যানথালসা হল প্যাঞ্জিয়া ছাড়া বাকি সামগ্রিক মহাসাগরীয় অঞ্চলটি। অর্থাৎ প্রশান্ত, ভারত , আটল্যাণ্টিক সহ বাকি মহাসাগরীয় অঞ্চলে ও পাত একীভূত ছ...

🌏 জলবায়ুগত বৃহৎ নিয়ন্ত্রক সমূহ 🌏

Image
🌏 জলবায়ুগত বৃহৎ নিয়ন্ত্রক সমূহ 🌏 -------------------------------------------------------            জলবায়ুগত বৃহৎ নিয়ন্ত্রক সমূহ সাধারণত আমরা জানি সমুদ্র জলতল তাপমাত্রা বায়ুর চাপ ও সম্পর্কিত বায়ুপ্রবাহকে পরিবর্তন করে থাকে। ব্যাপক ভাবে সাগরের দুটি বিপরীত মেরুতে তাপমাত্রার পরিবর্তন কোনো একটি বা একাধিক জলবায়ুর উপর প্রভাব বিস্তার করে।  ⭐ যেসমস্ত বিষয়গুলি সাগরের তাপমাত্রা, বায়ুরচাপ , বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতের তারতম্যের সঙ্গে দায়ী সেগুলি হল - ১) দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা হ্রাস ২) বায়ুর চাপের বৃহৎ অঞ্চলে পরিবর্তন ৩)  বায়ু প্রবাহের পরিবর্তন সক্রিয়তা ও দুর্বলতা ৪) স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন ৫) ঘূর্ণিঝড় ও ক্রান্তীয় সিস্টেমের উপর প্রভাব ৬) খরা ও বন্যা ।  🛑 এল নিনো : " প্রশান্ত মহাসাগরের দুষ্টু ছেলে হল  এল নিনো " । দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলীয় এলাকায় হিম শীতল হামবোল্ট স্রোতের জায়গায়  জলতল তাপমাত্রা বেশি হয়ে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। সাধারণত নিরক্ষরেখার উভয় দিকে ২০° উ ও দ অক্ষাংশের মধ্যেই এল নিনো স্রোতের সব থেকে ব...

🌏 অগ্নুৎপাত সম্বন্ধীয় নানা মজার তথ্য 🌍

Image
🌏 অগ্নুৎপাত সম্বন্ধীয় নানা মজার তথ্য 🌍               অগ্ন্যুৎপাতের মজার তথ্য ⛰️ সাধারণত পৃথিবীর যত ভিতরে যাওয়া যায় ভূপৃষ্ঠ থেকে তত তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। পৃথিবীর ওই অংশের বস্তু সমূহ ( খনিজ পদার্থ , শিলা ও নানা ধরনের গ্যাস ) তরল অবস্থায় এবং আরো নীচে চাপ ও তাপে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। ভূ অভ্যন্তরের এই গলিত বা অর্ধগলিত পদার্থকেই বলা হয়ে থাকে ম্যাগমা। এই সমস্ত ম্যাগমা যখন ভূপৃষ্ঠ পর্যন্ত বিস্তৃত ফাটলের মাধ্যমে প্রবল উর্দ্ধমুখী চাপে উঠে আসার পদ্ধতিকেই বলা হয় অগ্নুৎপাত।  ⛰️ এই বড়ো বড়ো ফাটলগুলোকে বলা হয় কেন্দ্রীয় নল। এই কেন্দ্রীয় নলের চারপাশে আগ্নেয়পদার্থ ক্রমশ জমা হতে থাকে। এবং উঁচু হয়ে আগ্নেয়গিরি তৈরি করে। আগ্নেয়গিরি তিন রকম হয়ে থাকে - আগ্নেয় ভস্ম শঙ্কু , বিস্ফোরিত নল এবং বিমিশ্র আগ্নেয়গিরি। আগ্নেয় ভস্ম শঙ্কুকে সিণ্ডার কোন বলা হয়। আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই বেশি নিস্ক্রমিত হলে জমা হয়ে তৈরি করে। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে বিস্ফোরণের ফলে আগ্নেয় নলের কিছুটা দূরে আগ্নেয়পদার্থ জমা হয়ে তৈরি হয় । তৃতীয়টির ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ভ...

🌍চ্যুতি ও চ্যুতি দ্বারা গঠিত ভূমিরূপ🌍

Image
🌍 নানা ধরনের চ্যুতি ও গঠিত ভূমিরূপ 🌍 ------------------------------------------------------------ ⛰️ সাধারণত ভূপৃষ্ঠে সম্প্রসারণ ও দুটি শিলাস্তরের মধ্যভাগের ফাটল বরাবর শিলাস্তরের উঠা নামা হয়ে থাকে। এমন ভূপৃষ্ঠের উপর পাশাপাশি অবস্থিত ফাটলগুলোকে বলা হয়ে থাকে চ্যুতি ( Fault ) । সাধারণত এই ফাটল বরাবর শিলাস্তরের উঠা নামা হয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে বহিঃর্জাত শক্তির প্রভাবে ক্ষয় পেতে থাকে।  ⭐ চ্যুতিরেখা : যে রেখা বরাবর শিলাস্তরে চ্যুতি বা ফাটল দেখা যায় সেই কাল্পনিক রেখাকে বলা হয় চ্যুতিরেখা । ⭐ ঝুলন্ত ও পাদপ্রাচীর : চ্যুতিরেখা বরাবর শিলাস্তরের যে অংশটি অন্য শিলার সপক্ষে ঝুলে থাকে তাকে ঝুলন্ত প্রাচীর এবং যে শিলার সপক্ষে প্রাচীর ঝুলে থাকে তাকে পাদপ্রাচীর বলে।  ⭐ আয়াম ও নতি ( Strike & Dip ) : সাধারণত দুটি আলাদা শিলাস্তরের মধ্যে যে ১৮০° কোন গঠিত হয় তাকে আয়াম ও একটি শিলাস্তর অন্য শিলাস্তরের উপর হেলে থাকার মানকে নতি বলা হয়।  ⭐ ভৃগুতট ( Scrap ) : চ্যুতির দুদিকে শিলাস্তর ওঠানামার সপক্ষে দুটো শিলাস্তরের মধ্যে যে দেওয়াল বা ঢাল তৈরি হয় তাকে ভৃগুতট বলে।  ⭐ Bedding Plane : ...

সমুদ্র বক্ষের বিস্তৃতি{seafloor spreading}

Image
::::: সমুদ্রতলের বিস্তৃতি :::::                  (seafloor spreading) 1960 সালে মার্কিন ভূবিজ্ঞানী হ্যারি হ্যামন্ড হেস সমুদ্রবক্ষের সম্প্রসারণের ধারণা দেন।1962 সালে অধ্যাপক History of Ocean Basin বইটিতে মতবাদটি প্রকাশ করেন। পূর্ব ধারণা~ফ্রান্সিস বেকন এর আটলান্টিক মহাসাগর সৃষ্টি,ওয়েগনার এর মহাদেশীয় সঞ্চালন, আর্থার হোমসের তাপীয় পরিচালন স্রোত ইত্যাদি ধারণা হ্যারি হেসকে নতুন ভূগাঠনিক ধারণা তৈরিতে উৎসাহিত করে। মূল বক্তব্য~ ১.হোমস এর 'পরিচলন স্রোত তত্ত্ব' এর ভিত্তিতে তিনি বলেন ক্ষুব্ধমন্ডলে ম্যাগমার পরিচলন স্রোতের ঊর্ধ্বমুখী অংশে মহাসাগরীয় ভূত্বক ফেটে বা গলে গিয়ে অসংখ্য ফাটল ও চ্যুতি রেখা সৃষ্টি হয়। ২.লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ওই ফাটল বরাবর অবিরাম ব্যাসল্ট জাতীয় লাভা নির্গত হয়ে সামুদ্রিক ভূত্বকের উপর সঞ্চিত হয়ে মধ্য সামুদ্রিক শৈলশিরা সৃষ্টি হয়।পরে পরে সমুদ্র বক্ষের বিস্তার ঘটতে থাকে,ম্যাগমা নির্গমনের সময় প্রবল চাপে ভূত্বক পাশের দিকে বিস্তার লাভ করে এবং মাঝের ফাঁকা অংশে লাভা জমে নতুন ভূত্বক সৃষ্টি হয়। ৩.এর ফলে মহাসাগরের দুদিকের সীমানা...

সমুদ্র জলের লবণতা (Salinity of ocean water)

Image
    (পৃথিবীর সমুদ্রজলের লবণতার                     নিয়ন্ত্রকসমূহ) পৃথিবীর সর্বত্র সমুদ্রজলের লবনতার পরিমাণ এক নয়। সমুদ্রজলে লবনতার নিয়ন্ত্রকগুলি হলো: A.বাষ্পীভবন~সূর্যতাপে সমুদ্রের জল থেকে জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয় কিন্তু লবণ বাষ্পীভূত হয় না।ফলে বাষ্পীভবনের কারণে সমুদ্র জলের লবনতা আপেক্ষিকভাবে বেড়ে যায়। 1.নিরক্ষীয় অঞ্চল~ নিরক্ষীয় অঞ্চল অধিক উষ্ণ হলেও বাষ্পীভবনের হার ক্রান্তীয় অঞ্চলের তুলনায় কম এই কারণে নিরক্ষীয় অঞ্চলে লবণতার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। 2.ক্রান্তীয় অঞ্চল~ ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রে অধিক বাষ্পীভবন,অধিক উষ্ণতা এবং বায়ুর আদ্রতা অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় লবণতার পরিমাণ বেশি। 3.হিমমন্ডল~ হিমমন্ডলে বাষ্পীভবনের হার কম বলে মেরু অঞ্চলে সমুদ্রের জল কম লবণাক্ত। 4.দিক ও ঋতুর প্রভাব~  বাষ্পীভবনের পরিমাণ সমুদ্রের পূর্ব থেকে পশ্চিমে এবং বিভিন্ন ঋতুতে কিছুটা বাড়ে বা কমে। 5.বায়ুপ্রবাহের প্রভাব~ নিয়ত ও পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে বাষ্পীভবনের পরিমাণ বাড়ে।শুষ্ক ও শীতল বায়ু উষ্ণ সমুদ্রের উপর দিয়ে প্রবাহিত ...

মৃতের সাগর

Image
'মৃতের সাগর' বলা হয় কাকে এবং কেনো? ~ মধ্যপ্রাচ্যের ইসরায়েল এবং জর্ডনের মধ্যে অবস্থিত এবং শুধুমাত্র জর্ডন নদীর জলপুষ্ট মরুসাগরকে মৃতের সাগর বলা হয়।বস্তুত মরুসাগর কোন সাগর নয় এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 400 মিটার নিচে অবস্থিত একটি হ্রদ। মরুসাগরের লবনতা প্রায় 237 সহস্রাংশ (%•)।মরুসাগর এর মোট আয়তনের প্রায় 1-4 ভাগ খাদ্য লবন, পটাশিয়াম,চুন,আয়োডিন প্রভৃতি রাসায়নিক পদার্থে পরিপূর্ণ।ফলে মরুসাগরের জলের প্লবাতা বেশি।এই কারণে কোনও বস্তু মরুসাগরের জলে ডুবে যেতে পারে না।শুধু তাই নয় অত্যাধিক লবনতার জন্য মরুসাগরের জলে কোনো জীবজন্তু বসবাস করে না।উদ্ভিদ ও প্রাণী জন্মায় না।এই সাগরের নেই কোনো জীববৈচিত্র্য। তাই এই সাগরকে মৃতের সাগর বলে।

পাত সঞ্চালন তত্ত্ব(Plate tectonic theory)

Image
বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত মহাদেশ ও মহাসাগরগুলির স্থায়িত্ব পর্বতমালার গঠন, সমুদ্রবক্ষের বিস্তৃতি,অগ্ন্যুৎপাত প্রভৃতির মতো ভূতাত্ত্বিক ঘটনাবলির আংশিক ব্যাখ্যা বেকন,ওয়েগনার প্রমুখ ভূবিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্র থেকে পাওয়া গেলেও,এই তথ্যগুলি সম্পূর্ণ সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। পৃথিবীব্যাপী ভূত্বকীয় ও পাতের চলন,সংঘর্ষ,চ্যুতি, ভূমিকম্প,অগ্নুৎপাত,মহাদেশ-মহাসাগর বন্টন,পর্বত শৈলাশিরা সৃষ্টি ইত্যাদি পাত সংক্রান্ত আলোচনাকে একত্রে পাত ভূগাঠনিক তত্ত্ব বলে। প্রবক্তাগণ~ তত্ত্বটি কোন একক তত্ত্ব নয়,বিভিন্ন ধারণাকে একসূত্রে গেঁথে তত্ত্বটি তৈরি,এটি জেফ্রির তাপীয় সংকোচন তত্ত্ব,ড্যালির মহাদেশ বিচলন তত্ত্ব,হোমসের পরিচলন স্রোত তত্ত্ব,ওয়েগনারের মহাদেশ সঞ্চালন তত্ত্ব এবং সমুদ্রবক্ষের বিস্তৃতি তত্ত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত।১৯৬৫ সালে কানাডীয় ভূ-পদার্থবিদ জে তুজো উইলসন সর্বপ্রথম নেচার পত্রিকায় পাত ও পাত ভূগঠনিক শব্দ ব্যবহার করেন। এরপরে, ম্যাকেঞ্জি,পার্কার,আইজকস,সাইকস,মরগ্যান, অলিভার প্রমুখ ভূবিজ্ঞানী এই তত্ত্বকে সমৃদ্ধ করেন। ১৯৬৮ সালে ফরাসি বিজ্ঞানী জেভিয়ার লা পিঁচো ভূগঠন তত্ত্বকে পরিপূর্ণতা দান...